মোঃ আসাদুর রহমান শার্শা(যশোর)প্রতিনিধিঃ কিছুদিন পরেই কোরবানীর ঈদ। আর এ প্রধান ধর্মীয় উৎসবকে সামনে রেখে হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির অসৎ পুলিশ সদস্যরা চাঁদাবাজিতে মাঠে নেমে পড়েছে। চিনিহ্নত এই পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ থাকা স্বত্ত্বেও তারা রয়েছে বহাল তবিয়তে। এই ফাঁড়ির সদস্যদের চাঁদাবাজী সম্পর্কে যশোর জেলা পুলিশ সুপারকে অবহিত করাণো স্বত্ত্বেও কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় ঝিকরগাছা ও শার্শা উপজেলার বিভিন্ন অংশে অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন।
ঝিকরগাছা থানাধীন নাভারণ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কেএম রফিক উদ্দিন দু’থানার মাদক বিক্রির স্পট, মাদক ব্যবসায়ী, হাইওয়ে রোডে চলাচলকারী নসিমন, করিমন, টেম্পু, আলমসাধু, ইজিবাইক, প্রাইভেট কার, নাম্বার বিহীন মোটরসাইকেল, পরিবহন ও শতাধিক ইটভাটার ফিটনেস বিহীন ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন থেকে দিনরাত সমানতালে বেপরোয়া চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছেন।
যশোরে ঝিকরগাছা ও শার্শা উপজেলার সড়ক-মহাসড়কে অবৈধ ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চলাচলে মোটা অঙ্কের টাকার চাঁদা বাজির অভিযোগ রয়েছে। নাভারন হাইওয়ে ফাঁড়ির পুলিশের এস আই কেএম রফিক উদ্দিন ইজিবাইকসহ অবৈধ তিন চাকার যান মহাসড়কে চলার জন্য মৌখিক স্টিকার দিয়া নামে প্রতি কয়েক লক্ষ টাকার চাঁদা আদায় করছে।
এ চাঁদার টাকা পায় নাভারন হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এসআই কে এম রফিক উদ্দিন। যার কারণে যশোর-বেনাপোল মহাসড়ক এবং নাভারন-সাতক্ষীরা সড়কের বেপরোয়া গতিতে অবাধে যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে ইজিবাইক। মহাসড়কে এসব অবৈধ যানবাহন চলাচলের কারনে দুঘর্টনায় প্রাণ হাড়াচ্ছে সাধারন মানুষ।
ঝিকরগাছা বাজারের কয়েকজন চালকরা জানিয়েছেন, ঝিকরগাছা উপজেলার বাজার মহাসড়কে চলে ৫০টি, বেনেয়ালী বাজার থেকে শিমুলিয়া বাজার সড়কে চলে ৪০টি, গদখালীর বাজার থেকে বাকঁড়া বাজার সড়কে চলে প্রায় ৩০টি, ঝিকরগাছা কাঁচা বাজার থেকে মনিরামপুর সড়কে চলে ৬০টির মতো এবং বিভিন্ন গ্রামের ছোট সড়কগুলোতে সব মিলিয়ে প্রায় ২০টি গাড়ি চলাচল করে। গোটা উপজেলায় প্রায় ২০০টি ইজিবাইক হাইওয়ে মহাসড়কে অবাধে চলাচল করে বলে খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়।
শার্শা উপজেলায় বাগাঁআচড়া যেহেতু এদের কোনো সংগঠন নেই। তাই গাড়ির সঠিক সংখ্যা জানাতে পারেনি কোনো চালক। এ সব ইজিবাইক থেকে আদায় করা চাঁদার একটি অংশ পায় বাজার এলাকার ক্ষমতাশীন দলের নামধারী নেতা-কর্মীরা। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন নাভারন হাইওয়ে ফাঁড়ির পুলিশের এসআই কেএম রফিক উদ্দিন নিয়মিত পেয়ে থাকেন চাঁদার একটি বড় অংশ। প্রতি ইজিবাইক থেকে মাসিক ৩৫০ টাকা করে তোলা হয়।
প্রতি মাসে বেনামে স্টিকার দেয়ারও নিয়ম তৈরি করেছে নাভারন হাইওয়ে পুলিশের এস আই কেএম রফিক উদ্দিন। প্রতি স্টিকারের নামে রফিক উদ্দিনকে মাসিক ৩৫০ টাকা করে টাকা চাঁদা দিতে হয়। এক মাসের চাঁদার টাকা দিলে পরের মাসের জন্য দেয়া হয় হাইওয়ে সড়কে চলার অনুমতি। বেনামে দেওয়া স্টিকার গুলি চালকরা গাড়ির সামনে না লাগিয়ে নিজের কাছে রাখতে বলে দিয়েছেন পুলিশ।
যা দেখালে মহাসড়কে দায়িত্বরত নাভারন হাইওয়ে ফাঁড়ির পুলিশ কর্মকতারা আটকাবে না। কখনো এ সব ইজিবাইক কোনো কারণে আটক হলেও তা ছাড়িয়ে নিয়ে যায় যারা চাঁদা তোলার দায়িত্বে থাকেন তারাই। হাইওয়ে পুলিশের নিয়োগকৃতরা নিজ নিজ এলাকার বাজারে ইজিবাইক স্ট্যান্ডে যাত্রী নিয়ে চলাচলের সিরিয়ালের ব্যবস্থা করেন। তাতে তারা চালকদের কাছ থেকে প্রতিদিন পায় ২০ টাকা করে। এ নিয়মে সড়ক-মহাসড়কে বেপরোয়া গতিতে অবাধে যাত্রী নিয়ে চলছে ইজিবাইক গুলো। এ শার্শা উপজেলায় প্রায় ৪০০টি গাড়ি আছে।
এ ব্যাপারে নাভারন হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই কেএম রফিক উদ্দিন বলেন, আমার বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে রিপোর্ট যতো পারেন আপনারা লিখতে থাকেন। আমার সরকারি চাকরির কোনো সমস্যা হবে না। কারণ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে চলতে হয়।
আমি অবৈধভাবে যা উপার্জন করি তা থেকে সবার মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করে নেই। শুধু তাই নয় স্থানীয় সাংবাদিক বড় ভাইদের ছাড়াও যশোরের সাংবাদিকরাও আমার কাছে থেকে মাসোহারা নিয়ে থাকে। আপনারা আমার বিরুদ্ধে যত পারেন লেখেন এবং তার বিরুদ্ধে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কে চাদাবাজি ব্যাপারে মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি স্থানী নেতাদের আশ্রায় নিয়ে সাংবাদিকদের হুকিদেন।